ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ গুম করতে ফেলা হয় নদীতে 

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ৯ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৫:৫৪, ৯ জানুয়ারি ২০২৩
ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ গুম করতে ফেলা হয় নদীতে 

আসামি আলআমিনকে নিয়ে নদীর পাড়ে পুলিশ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে দেওয়া হয় বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে। গতকাল রোববার অভিযুক্ত অটো চালক আল আমিন হাওলাদারকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। 

এদিকে মারা যাওয়া ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধারে সোমবার (৯ জানুয়ারি) নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার হওয়া আলআমিন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামের ইসমাইল হালাদারের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে চরআন্ডা বাজারে মোবাইলে রিচার্জ করতে যায় ওই ছাত্রী। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার সঙ্গে দেখা হয় অটো চালক আলআমিনের। এসময় আলআমিন তাকে বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আলআমিন ওই ছাত্রীর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ নদীতে ফেলে দেয়। 

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার নিষ্পাপ শিশুর কি দোষ ছিলো। তাকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো। আমি আলআমিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

নিহতের বাবা আবু তালিব মৃধা বলেন, আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। কেন আমার মেয়েকে এভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হলো। আমি আলআমিনের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। 

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, নিহত শিশুর লাশ নতী থেকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামি আলআমিনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

ইমরান/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়