উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম: তথ্যমন্ত্রী
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম: তথ্যমন্ত্রী উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম: তথ্যমন্ত্রী](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023January/info-minister-2301130640.jpg)
রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: রাইজিংবিডি
উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনও বিদ্যুতের দাম কম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। ইউরোপে, অ্যামেরিকায় এবং ইউকেতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেখানে বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ইউরোপ, কিংবা কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, ইউকে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, আমাদের দেশে সেভাবে দাম বাড়ানো হয়নি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আমাদের সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। জনগণের যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্যই হাজার হাজার কোটি টাকা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সেই ভর্তুকিটা কিছুটা কমানোর জন্য সামান্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটিও অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় কম।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, হাঁস ডিম পাড়ার আগে অনেক হাঁকডাক দেয়, হাঁস যখন ডিম পাড়ে, ডিম পাড়ার আগে অনেক হাঁকডাক দেয়। বিএনপির ১৬ তারিখের সমাবেশ বা মিছিল ওই হাঁস ডিম পাড়ার আগে যে হাঁকডাক দেয়, এটা ছাড়া অন্য কিছু না। কয়েকদিন আগে বিএনপি যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলো, সেখানে দেখা গেছে যত হাঁকডাক দিয়েছিল, তার কিছুই না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি কঠোর, কঠোরতর এবং বিভিন্ন সময় নানা ধরনের নাম দিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। একবার আন্দোলন করার পর বলে যে, শীতের পরে আন্দোলন হবে, গ্রীষ্ণের পরে হবে, বর্ষার পরে হবে, বার্ষিক পরীক্ষার পরে হবে। গত ১৪ বছর ধরে তারা যে ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে তাদের আন্দোলন সেটার ধারাবাহিকতা ছাড়া কিছু না।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি, আমাদের ভিত্তি জনগণ। সমগ্র বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক সমাবেশ-জনসভাগুলো করেছি, সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ। জনগণ যে আমাদের সাথে আছে, সেটি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রতীয়মান হয়েছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে যে জনসভা হতে যাচ্ছে, সেদিন রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। আমরা যদিও মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছি, কিন্তু পুরো শহরটাই সেদিন সমাবেশে রূপান্তরিত হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে কোন সমঝোতা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতীক। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। আপনারা যে প্রশ্ন করছেন তা অবান্তর।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খাদ্যমন্ত্রী ড. সাধন চন্দ্র মজুমদার, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/কেয়া/সাইফ/
আরো পড়ুন