আ.লীগ নেতার বাড়িতে গুলি-ভাঙচুর

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঢুকে গুলি ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। পরে খবর পেয়ে চাটখিল খিলপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।  

গতকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। 

এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার খিলপাড়া বাজারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দিন সুমনের ব্যক্তিগত অফিসেও মোস্তফাকে মারধর করা হয়েছিল।  

ভুক্তভোগী মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দিন সুমনের নির্দেশে তার অনুসারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, রোববার দিবাগত রাতে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে। পরে তারা বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।  

খিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মীর হোসাইন জানান, কম্বল বিতরণের জন্য ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদককে তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা করতে বলা হয়। তারা কম্বল বিতরণের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা তৈরী করছিলেন। এই নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দিন সুমন তাকে না জানিয়ে তালিকা করার কারণে ক্ষুদ্ধ হন। ওই ঘটনায় সুমনের সঙ্গে মোস্তফার কথা কাটাকাটি হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে খিলপাড়া বাজার থেকে সুমন ও তার অনুসারীরা মোস্তফাকে তুলে নিয়ে যান এবং মোস্তফাকে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে সুমন ও তার লোকজন মোস্তফাকে মারধর করে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরলে আগের ঘটনার জেরে গতকাল মোস্তফার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।  

তিনি আরও বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছি। এই ঘটনার উপযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত খিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।   

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সালাউদ্দিন সুমনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর কবিরের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। একটি গ্রুপ কাজগুলো করাচ্ছে। তদন্তে বেড়িয়ে আসবে কারা এগুলো করাচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে, আসামি চিহিৃত করে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছি।  

খিলপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.কামরুজ্জামান বলেন, আমরা সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এতে কিছু লোক দেখা যায়। আমরা যাচাই বাছাই করে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।