ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩ 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১০:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩ 

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালিকান্দি, নোয়াদ্ধা ও লক্ষ্মিদিবি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- সুমন মোল্লা (২০), ফারুক হোসেন (২৮), প্রাণ মোল্লা (১৪)। অপর আহত সাতজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন পাটোয়ারীর লোকজনের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহসিনা হক কল্পনার লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গতকাল দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করে মুন্সী-কান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালিকান্দি, নোয়াদ্ধা ও লক্ষিদিবি গ্রামে হামলা চালায় চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী গ্রুপের লোকজন। এসময় কল্পনা পক্ষের লোকজনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে ককটেল বিস্ফোরণ চলতে থাকে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত দেওয়ান বলেন, ‘দুপুরে রিপন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে হঠাৎ করে গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এতে সংঘর্ষ শুরু হয়।’

এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঢালীকান্দি গ্রামে আমার এক সমর্থককে কল্পনার লোকজন মারধর করেছে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এরজন্য সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার লোকজন দায়ী।’

মোল্লাকান্দি ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা বলেন, ‘রিপন পাটোয়ারীর ছোট ভাই শিপন পাটোয়ারীসহ তার লোকজন প্রথমে গ্রামের সাধারণ লোকজনের উপর হামলা করে। গ্রামবাসী তা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। রিপন পাটোয়ারী হামলার পরিকল্পনাকারী।’

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, ‘গ্রামে আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কাউকে আটক করা হয়নি এখন পর্যন্ত।  অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের তৎপরতা চলছে।’

রতন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়