পদ্মাপাড়ে পাকা আমের অস্থায়ী হাট

মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল মাছঘাট। পদ্মা নদী সংলগ্ন এই ঘাটে প্রতিদিনই বসছে আমের হাট। নিজেদের গাছ থেকে পেড়ে আনা তরতাজা মিষ্টি আম এখানে বিক্রি করেন আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। এতে এসব বাসিন্দারা আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া রাসায়নিক মুক্ত আম কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষজন ও মাছ কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৬ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই হাসাইল মাছঘাট সংলগ্ন নদীর পাড়ে শুরু হয় আমের হাট। সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে এখানে আম বেচাকেনা। উপজেলার গাড়ুরগাও, দশত্তর, কুকরাদী, মধ্য হাসাইল ও পাঁচগাও গ্রামের নানা বয়সী ব্যক্তিরা নিজেদের গাছের বিভিন্ন জাতের পাকা আম নিয়ে এই হাটে আসেন। বিক্রিও হয় ভালো। দূরদূরান্ত থেকে মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় নিজেদের সঙ্গে আমও কিনে নিয়ে যান। রাসায়নিক মুক্ত এসব আম সরাসরি গাছ থেকে আনা হয় এবং মান ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও থাকে সবসময় বেশি।

আম বিক্রেতা সিরাজ শেখ বলেন, আমাদের আমে কোনো রাসায়নিক নেই। বাড়ির গাছ থেকে পাকা আম এখানে বিক্রি করতে আনি। প্রতিদিন ভোরে দূর দূরান্ত থেকে মাছ কিনতে আসা লোকজন আমাদের কাছ থেকে মাছের পাশাপাশি আমও নিয়ে যান।

রমিজ উদ্দিন নামের অপর এক বিক্রিতা  বলেন, আমরা আম ব্যবসায়ী না। বাড়িতে রোপণ করা গাছে আম বেশি হওয়ায় খাওয়ার জন্য পরিমাণ মতো রেখে বাকিগুলো এখানে বিক্রি করতে আনি।

হাসাইল মৎস্য আড়তের পাইকার মো. ফজল বলেন, বাজারে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে। আড়তের সামনে ভেজালমুক্ত আম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। তাই এখান থেকে প্রতিদিন আমি আম কিনে নিয়ে যাই।

মাছের আড়তদার সোহেল হাওলাদার বলেন, এই আড়তে প্রতি বছরই আমের হাট বসে৷ প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের চাহিদা রয়েছে এখানে।