ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

নীলফামারী প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ১৪ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ০৮:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০২৩
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ৩৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বাড়া কমার মধ্যে রয়েছে।  রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকাল ৬টা থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বাড়তে পারে। 

 নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ীসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এছাড়া, ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়া দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুর খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের করিম উদ্দিন বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি।

খালিশ চাপানী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, নদীর পানি বেড়েছে অনেক। ঘরে পানি ঢুকে থাকার মতো অবস্থা নাই। রাতে ঘুমাতে পারিনাই।

একই এলাকার মোবারক হোসেন বলেন, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা ও ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়া জন‌্য বলেছি। রাতে পানি বেড়েছে। পানিবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে কাজ করছি আমরা। 

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, পানিবন্দি মানুষদের নৌকায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চলের ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ করছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যাকবলিতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

সিথুন/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়