মোবাইল বিক্রির টাকার জন্য হত্যা করা হয় রেদোয়ানকে: পুলিশ
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মোবাইল বিক্রির পাওনা ১১ হাজার টাকার জন্যই বগুড়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী রেদোয়ানকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের বন্ধ আবুল কাশেমকে (১৯) গ্রেপ্তারের পর শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী একথা জানান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ১০টায় উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাতাজো গ্রামে নিহত হন রেদোয়ান। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আবুল কাশেমকে আটক করে পুলিশ। আবুল কাশেম কাহালুর পাতুঞ্জা পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, রেদোয়ান ও আসামি আবুল কাশেম একই গ্রামের বাসিন্দা ও পরস্পরের বন্ধু। আমরা জানতে পেরেছি প্রায় ৭ মাস আগে রেদোয়ানের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কেনেন কাশেম। কিছুদিন পর রেদোয়ান টাকা না দিয়েই মোবাইলটি কাশেমের কাছে থেকে ফেরত নিয়ে নেন। এরপর থেকে কাশেম টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন রেদোয়ান। এটা নিয়ে কাশেমের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে রেদোয়ানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাশেম। পরিকল্পনা মাফিক কাশেম তার বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া নিয়ে পুকুর পাড়ের গাছে পাশে লুকিয়ে রাখেন। গতকাল রাতে তারাবীর নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় রেদোয়ানকে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেম ইন্সটল করে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। রেদোয়ান মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম ইন্সটল করতে শুরু করলে কাশেম লুকিয়ে রাখা হাসুয়া দিয়ে রেদোয়ানের ঘাড়ে কোপ দেন। পরে কুপিয়ে রেদোয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত করেন কাশেম।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পরপর পুলিশ ঘটনা নিয়ে কাজ শুরু করে। নিহতের পরিবারের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত নিয়ে কাশেমকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর কাশেম হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। এছাড়া কাশেমের তথ্যের ভিত্তিতে সিমেন্টের ঢালাইয়ের চোঙের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হাসুয়া উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
এনাম/মাসুদ
আরো পড়ুন