ঢাকা     শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

টিউবওয়েলেও পানি নেই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২২, ২ মে ২০২৪   আপডেট: ১৯:৪২, ২ মে ২০২৪
টিউবওয়েলেও পানি নেই

তাপদাহ প্রতিদিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও কৃষকের ক্ষেতসহ সর্বত্র। শুধু তাই-ই নয়, তীব্র তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল থেকেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

কুষ্টিয়া পৌর এলাকাসহ জেলার সর্বত্র একই অবস্থা। সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, অতিরিক্ত খরায় পুড়ছে কৃষকের ফসল। পানির উৎস না থাকা এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকও।

তাপদাহ বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো থেকে যেন আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে। আর সেই তেজে পুড়ছে সবকিছু। সপ্তাহ ধরে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে অবস্থান করছে। বৃষ্টির অভাবে আবাদি জমি ফেটে চৌচির অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাপদাহে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে পদ্মা, গড়াই। জিকে সেচ প্রকল্পের চারটি পাম্প মেশিন নষ্ট থাকায় প্রকল্পের খালগুলো পানিশূন্য। এতে প্রভাব পড়েছে কৃষকের ক্ষেতে। বিশেষ করে বোরোধান চাষে চাষিদের দুশ্চিন্তা বেশি। পানির উৎস না থাকা ও বৃষ্টি না হওয়ায় চিটা হচ্ছে ধানে, পুড়ছে ভুট্টা, বাদাম ও আখসহ সবজি ক্ষেত। বিনিয়োগ করে বিপাকে কৃষকরা। একই অবস্থা কৃষি খামারেও।

কৃষিবিদরা বলছেন, গরম অব্যাহত থাকলে বোরো আবাদের বিপর্যয় হতে পারে। বিশেষ করে ধানে চিটা বাড়তে পারে। এজন্য স্যালো ইঞ্জিন চালিত পানির পাম্পগুলো মাটি খুঁড়ে গভীরে বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল।

সুপেয় পানির সংকট চরম দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে মানুষ। টিউবওয়েলে পানি না পাওয়ায় সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাইদুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন জানান, গত কয়েক বছর ধরে ওয়াটার টেবিলের লেয়ার নিম্নমুখী। গত বছর পানির স্থিতিতল ছিল ৩২ ফুট। এবছর তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ ফুট। বৃষ্টি হলে সমস্যা দূর হবে।

এদিকে, কুষ্টিয়া আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. বজলুর রহমান জানিয়েছেন, জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি মিলবে না। 

কাঞ্চন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়