ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শরীয়তপুরে ইলিশ শিকারে জেলেদের নদীতে নামার প্রস্তুতি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৫৭, ২ নভেম্বর ২০২৪
শরীয়তপুরে ইলিশ শিকারে জেলেদের নদীতে নামার প্রস্তুতি

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশ শিকারে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। 

রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্য রাত থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের মাঝের চর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার ৮০ কিলোমিটার নদীতে মাছ শিকার করতে নামবেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার অভিযান সফল হওয়ায় আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

আরো পড়ুন:

ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ সময়ে ইলিশ বিক্রি, মজুত ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ করা হয়। জেলা টাস্কফোর্স কমিটি শরীয়তপুরের ৮০ কিলোমিটার পদ্মা নদীর অংশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে। ৪ নভেম্বর থেকে ইলিশ শিকারে নামবে জেলেরা। শরীয়তপুরের জেলে পল্লীগুলোতে মাছ শিকারের প্রস্তুতিতে নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটছে। জাল আর মাছ ধরার নৌকা মেরামত করে আগেই প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন তারা। নদীর পাড়ের মাছের আড়ৎগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন উপলক্ষে জেলার ২০ হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য ২৫ কেজি করে ৫০০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে জেলায় ২৫ হাজার ৮২৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে কাজ করছে।

জয় নামের এক জেলে বলেন, অভিযানের সময় তারা মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন। অভিযান শেষে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে অভিযানের সময় যে চাল সহায়তা পেয়েছেন, তা জন্য পর্যাপ্ত নয়।

আরেক জেলে আল আমিন বলেন, মাছ ধরে তাদের জীবন চলে। এ অভিযানের সময় তারা মাছ ধরেন না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে চাল সহায়তা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অন্য কিছুর ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।

জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযান সফল হওয়ায় আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন।

আকাশ/বকুল  

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়