ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: জামায়াতের আমির

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ৪ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৬:০৮, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: জামায়াতের আমির

কুষ্টিয়ায় শনিবার জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‍“নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। নারীরা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো, ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।” 

তিনি বলেন, “তারা (নারী) যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।”

আরো পড়ুন:

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম সম্মেলনে সভাপতিত্বে করেন।

শফিকুর রহমান বলেন, “এই রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবেন। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।” 

তিনি বলেন, “আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে না হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌঁড়াদৌঁড়ি করা লাগবে না। পড়ালেখা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর অন্য দেশে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।”

জামায়াতের আমির বলেন, “যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করেছে মেজোরিটি-মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদের কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নেই, অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে। আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন, তার প্রমাণ কি?  প্রমাণ হচ্ছে, আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজি করে না, দখলবাজিও করে না।”

শফিকুর রহমান বলেন, “যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, দখল-বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।”

জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়