ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টে এনআইডি চায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্দানশীন নারীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৭:৪৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টে এনআইডি চায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্দানশীন নারীরা

ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছেন পর্দানশীন নারীরা। এ ছাড়া তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে পর্দানশীন নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে পর্দানশীন নারী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফারহানা হক, আহমেদ আয়িশা সিদ্দিকা ও শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না পর্দানশীন নারীরা। এজন্য তারা নাগরিক সেবাও নিতে পারছেন না। প্রায় ৩০ লাখ পর্দানশীন নারীর এনআইডি আটক রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের ‘কতিপয় স্বৈরাচারী’ কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার  অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া পর্দানশীন নারী নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না। এছাড়া সন্তানদের স্কুলেও ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। মানববন্ধনে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

দাবিগুলা হল- বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এজন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সকল পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা, পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়