ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মাদ্রাসায় ছাত্রীদের শয়নকক্ষে নাইট ভিশন ক্যামেরা, অভিযানে জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ১০ এপ্রিল ২০২৫  
মাদ্রাসায় ছাত্রীদের শয়নকক্ষে নাইট ভিশন ক্যামেরা, অভিযানে জব্দ

‘ফাতিমাতুজ্জোহরা ক্বওমি মহিলা মাদরাসা’র সাইনবোর্ড

যশোরের শার্শা উপজেলার ‘ফাতিমাতুজ্জোহরা ক্বওমি মহিলা মাদরাসা’ নামে একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর ছিল মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক ও শিক্ষক আবু তাহেরের কক্ষে।

অভিভাবকদের অভিযোগে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকালে সেখানে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানে ছাত্রীদের শয়নকক্ষ থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করা হয়েছে। 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক ও শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরে যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে থাকা যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, “কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে একজন অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।”

এদিকে মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক ও শিক্ষক আবু তাহের দাবি করেন, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তিনি যখন সিসি ক্যামেরা দেখেন, তখন তাঁর স্ত্রীও সঙ্গে থাকেন। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন প্রতিষ্ঠানের নারী প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, “গত বছর মাদ্রাসায় ১৮০ জন মেয়ে ভর্তি হয়েছিল। এখন ভর্তি চলছে, ১২ জন শিক্ষক আছেন। এর মধ্যে নয়জন নারী ও তিনজন পুরুষ।”

ঢাকা/রিটন/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়