নাটোরে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ১০
নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চক কালিকাপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দেওয়া নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সিংড়া থানার পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চামারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ইসলাম স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ কিছু মানুষকে নিয়ে গত শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে যোগ দেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী হাবিল উদ্দিন, কাবিল উদ্দিন ও কাউছার আলী তার উপরে ক্ষুব্ধ হন।
সমাবেশ থেকে ফেরার পর গতকাল রাতে চক কালিকাপুর গ্রামের ‘ভেজালের মোড়’ এলাকায় জামায়াতের নেতা নাজমুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা রড, হাতুড়ি ও হাঁসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে স্থানীয় জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫), সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম (৩৫), জামায়াতের কর্মী ফরিদ উদ্দিন (৪৫), মো. স্বপন (৩০), মো. সাগর (২৫) ও সুমাইয়া খাতুন (১২) এবং বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন (৩৫), কাবিল উদ্দিন (৪৫), কাউছার আলী (২৫) ও মো. কোরবান (২১) আহত হন। আহত ব্যক্তিরা সবাই সিংড়ার চক কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের নাটোর সদর হাসপাতাল ও সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাহবুব হোসেন আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বলেন, “আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলেই মনে হচ্ছে।”
আহত জামায়াতের নেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কিছু সাধারণ মানুষ ঢাকার দলীয় সমাবেশে গিয়েছিলেন। এটা বিএনপির লোকজন মেনে নিতে পারছে না। তাই অহেতুক গ্যাঞ্জাম বাধানোর জন্য তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেকেই আহত হয়েছি।’’
আহত বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘জামায়াতের লোকজন সমাবেশে গেছেন, এতে আমাদের কিছু বলার নাই। তারা এলাকায় ফিরে গণ্ডগোল বাধানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে মারপিট করেছে।’’
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। মৌখিকভাবে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/আরিফুল/এস