কুলিক নদীতে পাওয়া বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
উদ্ধারকৃত বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী কুলিক নদীতে মিলেছে বিপন্ন প্রজাতির একটি কচ্ছপ। জেলেদের জালে ধরা পড়ে কচ্ছপটি। খাওয়ার উদ্দেশ্যে কচ্ছপটি কিনে নেন এক কৃষক। তবে তার কাছ থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাণি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকায়, নিমাই চন্দ্র (৪৫) নামের সেই কৃষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ কেজি ওজনের কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়। সেইসাথে কচ্ছপ ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে নিমাই চন্দ্রকে আটক করা হয়। আটক নিমাই চন্দ্র উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় মৃত গণেশ চন্দ্রের ছেলে।
পরবর্তীতে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাফিউল মাজলুবিন রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে আটক নিমাই চন্দ্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরশেদুল হক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কচ্ছপটি খাওয়ার উদ্দেশ্যে এক জেলের কাছ থেকে কিনে বাড়িতে নিয়ে নিয়ে যান নিমাই চন্দ্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন তার কাছ থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, উদ্ধারকৃত কচ্ছপটি সংরক্ষিত ও বিপন্ন প্রজাতির। কচ্ছপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনের আওতায় এই ধরনের অপরাধে নিয়মিতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান জানান, বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী নিমাই চন্দ্রকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কচ্ছপ আটক ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ বন্য প্রাণি আইনে বিপন্ন প্রাণির তালিকায় থাকা এ কচ্ছপগুলো ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ। জব্দকৃত কচ্ছপটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
ঢাকা/হিমেল/এস