ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর দরকার: সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৫ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ২১:১২, ২৫ জুলাই ২০২৫
বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর দরকার: সাখাওয়াত

শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “যদি বন্দরের ইফিশিয়েন্সি (দক্ষতা) বাড়াতে হয়, তাহলে বাইরের টেকনোলজি আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করা দরকার। একটা পোর্ট তখনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করবে যখন একটা আন্তর্জাতিক অপারেটর আসবে।” 

আরো পড়ুন:

শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন এবং বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “ভুলে যাবেন না একটা অপারেটর, আরেকটা পরিচালনা। পরিচালনা কিন্তু আমাদের। আমরা শুধু এখানে যাকে আগে দিয়েছিলাম তার জায়গায় হয়তো আরেকজনকে দিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। কারণ আমার ব্যক্তিগত কোনো ইন্টারেস্ট নেই।” 

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের সম্পত্তি। এটা আমাদের কাছেই থাকবে। যদি কেউ অন্যভাবে প্রোপাগান্ডা করে থাকেন, আমি আশা করব, দেশের স্বার্থে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা যেন না করা হয়। আমরা সামনের দিকে যেতে চাই। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই। আমরা নিজেদের মধ্যে পড়ে থাকতে চাই না।”  

তিনি বলেন, “এনসিটি নিয়ে আপনারা বহু আলোচনা শুনেছেন। আমিও এখানে টেকওভার করার পর থেকে আলোচনাগুলো শুনছি। ১৭-১৮ বছর যারা এনসিটিতে ছিলেন আমি বলব, যে ভালো কাজই করেছেন। খারাপ করেননি। তারা তাদের মতো কাজ করেছেন।”

উপদেষ্টা বলেন, “ইন্টেরিম পিরিয়ডের জন্য আমরা এনসিটি ড্রাইডককে দিয়েছি। যার সঙ্গে নেভি রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, জানতে পেরেছি, আগের থেকে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা কিন্তু বড় ধরনের অগ্রগতি। আমি আশা করব, এটা যাতে ধরে রাখা হয়।” 

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “বন্দরের ট্যারিফ আলোচনা করে বাড়িয়েছি। এককভাবে মন্ত্রণালয় বাড়ায়নি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মেইন পোর্টের ট্যারিফ দেখার পর দেখা গেছে, এখনো এখানে ট্যারিফ অনেক কম। এমনকি মোংলা থেকেও কম। ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ আর বাড়ানো হয়নি।” 

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী এবং চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের (সিডিডিএল) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়