ঢাকা     রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভারতীয় সেই ১৪ নাগরিককে আবারো ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:২২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতীয় সেই ১৪ নাগরিককে আবারো ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা

ভারতীয় নাগরিক এসব নাগরিককে বারবার ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করছে বিএসএফ।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে আবারো সেই ১৪ ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে আবারো নতুন চেষ্টা চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর অবস্থান ও সতর্ক পাহারার কারণে ব্যর্থ হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে একই ব্যক্তিদের ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। 

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, “রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির অধীন চল্লিশপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ওই নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালায় বিএসএফ।” 

তিনি বলেন, “শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তারা পুনরায় ভারতে ফেরত যান। এরপরও বিএসএফ দৌলতপুর সীমান্ত ব্যবহার করে নতুন করে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা চালায়। বিজিবির কঠোর তৎপরতায় এবারও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী ভারতীয় ওই নাগরিকেরা সীমান্তের শূন্য (জিরো) লাইনের আশেপাশে অবস্থান করছেন।”

শূন্য লাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তার চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮), শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০), শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০), শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫), শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০), মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০)। 

শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, তারা ভারতের উড়িশ্যা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা ও মুসলিম নাগরিক। 

ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায় এবং আধার কার্ড ও রেশন কার্ড জব্দ করে। পরে উড়িশ্যার একটি কারাগারে তারা এক মাস পাঁচ দিন আটক ছিলেন। দুই দিন আগে তাদের কলকাতায় নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে নদীয়া জেলার গেঁদে সীমান্তে নিয়ে মধ্যরাতের পর কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। তাদের দাবি, তারা বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন না।

বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়