ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১৬০০ শিশুকে দুগ্ধপান করাবে বাকৃবি

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৩০ মে ২০২৪  
১৬০০ শিশুকে দুগ্ধপান করাবে বাকৃবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আগামী শনিবার (১ জুন) দশমবারের মতো উদযাপিত হবে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুরুত্ব বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং দুধ উৎপাদনের ব্যাপারে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ডেয়রি শিল্পের প্রসার ঘটাতে বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মোট প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিশুকে দুধ পান করানো হবে। পাশাপাশি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী। দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ড. সোহেল রানা সিদ্দিকী আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর ১৪.০৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়, যেখানে দুধের চাহিদা ১৫.৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। একজন ব্যক্তির  দৈনিক দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটার, বিপরীতে দেশের মানুষের গড় প্রাপ্যতা ২২১.৮৯ মিলিলিটার। এটা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। তাই দুধের ঘাটতি পূরণে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার গুঁড়া দুধ আমদানি করতে হয়।

তিনি বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন যতটুকু আছে, সেটুকুও গ্রাহক এবং শিল্প পর্যায়ে সঠিকভাবে পৌঁছায় না। তাই খামারি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবার কাছে দুধের পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষেই বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের এবারের আয়োজন। বাকৃবির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বের মানসম্পন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করাতে ডেয়রি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. একেএম মাসুম, বিভাগের অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব, সহকারী অধ্যাপক মো. সাদাকাতুল বারি প্রমুখ।

/লিখন/মেহেদী/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়