ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জোবায়েদ হত্যা: দায় স্বীকার করে ৩ আসামির জবানবন্দি

জবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০২, ২১ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ২১:২৮, ২১ অক্টোবর ২০২৫
জোবায়েদ হত্যা: দায় স্বীকার করে ৩ আসামির জবানবন্দি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তারা হলেন, মাহির রহমান, তার প্রেমিকা শবনম বর্ষা এবং সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লান।

আরো পড়ুন:

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক তিনটি আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ হোসেন বিকেল ২টা ৪১ মিনিটে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। বিকেল ৪টার দিকে বিচারকদের খাস কামরায় আলাদা আলাদা আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

সিএমএম আদালতের ৭, ১৩ ও ১৮ নম্বর আদালতের বিচারক যথাক্রমে মাহির রহমান, শবনম বর্ষা ও ফারদিন আহম্মেদ আয়লানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, তিন আসামিই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায়ে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।”

মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মাহির রহমানকে। এজাহারে শবনম বর্ষা ও ফারদিন আহম্মেদ আয়লানের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপরে জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ হোসেন।

বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “এই মামলায় তিন আসামি ও একজন সাক্ষীর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছে।”

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি জোবায়েদ টিউশনি করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর রৌশান ভিলায় পড়াতে যান।

সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ওই ভবনের এক ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা জোবায়েদের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে জানান, “জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা খুন করে ফেলছে।”

রাত ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান ফোনে এনায়েত হোসেনকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে যান।

এনায়েত জানান, রৌশান ভিলায় পৌঁছে নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ভবনের তৃতীয় তলার পূর্ব পার্শ্বের সিঁড়িতে গিয়ে উপুড় হয়ে থাকা জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়