ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারী ৭ শিক্ষককে শোকজ 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫  
লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারী ৭ শিক্ষককে শোকজ 

রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আন্দোলনকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ফাতেমা ফেরদৌসীর সই করা আলাদা চিঠি ওই শিক্ষকদের দেওয়া হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আরো পড়ুন:

সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়াসহ তিন দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করছেন। শোকজ পাওয়া শিক্ষকরাও আন্দোলনে সম্পৃক্ত। 

শোকজ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার, সহকারী শিক্ষক প্রিয়াংকা রাণী ভৌমিক, ফেরদৌসি বেগম, জয়পুরা এসআরএমএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুকবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক নুরুন নাহার, মেহেদী হাসান ফরিদ ও মর্জিনা আক্তার। 

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, শিক্ষক আবুল বাশার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পরীক্ষা বর্জণের ঘোষণা ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এটি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষক মুকবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক নুরুন নাহার, মেহেদী হাসান ফরিদ ও মর্জিনা আক্তারকে শোকজ করা হয়। 

এছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষক প্রিয়াংকা রাণী ভৌমিক ও ফেরদৌসি বেগমকে শোকজ করা হয়েছে। তারাও সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বর্জন করেছেন। এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

আবুল বাশারকে দেওয়া শোকজপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ (পরিমার্জিত সংস্করন) অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত আদেশ অমান্য করে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পরীক্ষা বর্জণের ঘোষণা দেন, যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি ১ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রেস ব্রিফিং করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ২২ এর পরিপন্থি। আপনি ২ ডিসেম্বর ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বর্জন করেছেন, এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে নোটিশ পাওয়া দুইজন শিক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা নিজেদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নোটিশ হাতে পেলে জবাব দেবেন।

রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসী বলেন, “শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলা করছেন। লিখিত জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে আমার কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়