মাদারীপুরে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস

মাদারীপুরে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাংসের বাজার। খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংসের কেজি ৮০০-৮৫০ টাকা। আর মুরগিরও দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।

গত শুক্রবার ও শনিবার সকালে মাদারীপুর পৌরসভার চৌরাস্তা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাংসের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। এর মধ্যে দোকানদারের পছন্দে মাংস নিলে দাম প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, আর ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী নিলে একই মাংস হয়ে যাচ্ছে ৮৫০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি ঠেকেছে ১১৫০-১২০০ টাকায়। এদিকে মুরগির মাংসের দামও চড়া। প্রতি কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, কক ও সোনালী মুরগির দাম ৩২০ টাকা কেজি। দেশি হাঁসের কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা এবং রাজহাঁসের কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা। এছাড়া ক্রেতার কাছ থেকে দেশি মুরগির দাম নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দোকানীরা ইচ্ছেমতো নিচ্ছে মাংসের দাম। আর বিক্রেতাদের রয়েছে খোঁড়া যুক্তি। বিক্রেতাদের দাবি, মাঠ পর্যায়ে দাম বাড়তি থাকায় বাজারে মাংসের দাম বেড়েছে।

শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চৌরাস্তা, ইটেরপুল ও পুরাণ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম চড়া। ৮০০ টাকা থেকে শুরু হয় গরুর মাংসের কেজি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ক্রেতারা নিরুপায়। বাজারে নেই মনিটরিং, নেই সরকারের কোন পদক্ষেপ।

মো. সোহান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের গরুর মাংস কেনার অবস্থা নেই। বাজারে দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতারা এখন নিরুপায়। ক্রেতাদের ভোগান্তি হলেও দেখার কেউ নেই।

চৌরাস্তা বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আলী আরসাব বলেন, ৩৫ হাজার টাকা গরুর মণ কিনে আনতে হয়। গ্রামগঞ্জে গরুর খামারীরা দাম কমালে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারি। বর্তমানে গরুর দাম এতো বেশি, তাতে বিক্রেতাদেরও লোকসান হয়। আজকে বাজারে তিনটি গরুর জবাই করা হয়েছে, তাতে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে।

আরেক বিক্রেতা আল আমিন সরদার বলেন, বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না। গ্রাম থেকে গরু কম দামে পেলে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো। আমাদেরই বেশি দামে কিনে আনতে হয়, এর অন্যতম কারণ গো-খাদ্যের দাম বেশি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দোকানিদের সতর্কও করা হয়েছে।