ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিআরটিএ’র ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ১৪ জুন ২০২১  
বিআরটিএ’র ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আগামী ৫ বছরে গড়ে প্রতিবছর ১৮০০ কোটি টাকা হিসেবে ৯০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে।

এ সময়ের জন্য সংস্থাটি অনলাইনে মোটরযান সংক্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা ক্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস লিমিটেড) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যেসব সেবা দিয়ে থাকে তার মধ্যে মোটরযান রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রোড ট্যাক্স, রুট পারমিট,  ড্রাইভিং লাইসেন্স, মালিকানা বদলি, রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নাম্বার প্লেট, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া অন্যতম। এসব সেবার জন্য সরকার নির্ধারিত হারে গ্রাহকদের কর ও ফি দেওয়া বাধ্যতামূলক। এরআগে ২০১০ সন পর্যন্ত ওই কর ও ফি আদায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হতো। পরবর্তী সময়ে মোটরযানের বিভিন্ন কর ও ফি গ্রাহক কর্তৃক জমা দেওয়া ও বিআরটিএ কর্তৃক আদায় কার্যক্রম অধিকতর স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক, সহজতর, দ্রুত ও নিশ্চিত করতে ডাক বিভাগের পরিবর্তে ডিজিটালাইজড অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে গত ২০১০ সালের ২ আগস্ট নির্বাচিত সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে বিআরটিএ’র ৫ বছর মেয়াদে ১ম বার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সূত্র জানায়, পরবর্তীতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে গত ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট নির্বাচিত সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে বিআরটিএ’র ২য় বার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মেয়াদ চলতি বছর ১৬ জুলাই শেষ হবে।

বর্তমানে ১৮টি অনলাইন ব্যাংকের ৫৪৭টি শাখা ও বুথের মাধ্যমে, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে অনলাইনে কর ও ফি তথা সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১০ সালের আগে বছরে গড়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা কর ও ফি আদায় হতো। পক্ষান্তরে বর্তমানে বছরে গড়ে প্রায় ১৬৩৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে এবং আগামী ৫ বছরে প্রতিবছর গড়ে ১৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ পদ্ধতির মাধ্যমে বিআরটিএ’র মোটরযান সংক্রান্ত রাজস্ব আদায় ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর আওতাধীন মোটরযান সংক্রান্ত আয়কর, ভ্যাট ইত্যাদি আদায় করা হয়, যার পরিমান গড়ে প্রতিবছর প্রায় ১২৯০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয় প্রক্রিয়া কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজড সিলেকশন (কিউসিবিএস) পদ্ধতিতে সম্পাদন করা হয়। বিআরটিএ’র বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় (রাজস্ব খাতে) বিবেচ্য ক্রয় কাজটি একটি প্যাকেজ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রস্তাবিত সেবা ক্রয় কাজটির প্রাক্কলিত মূল্য ভ্যাটসহ ২২১ কোটি ৭৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫০ টাকা।  

সূত্র জানায়, বিআরটিএ’র সেবাগুলো অব্যাহত রাখা ও মোটরযান সংক্রান্ত রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে বর্ণিত মোটরযান কর ও ফি জমা দেওয়া সংক্রান্ত অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য যোগ্য, দক্ষ ও উপযুক্ত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের লক্ষ্যে আগ্রহব্যক্তকরণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস লিমিটেড) কে দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করেছে।

এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/হাসনাত/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়