ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

শামীম আজাদ বাংলা কবিতায় এনেছেন বৈশ্বিক আবহ

স্বরলিপি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:২১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
শামীম আজাদ বাংলা কবিতায় এনেছেন বৈশ্বিক আবহ

শামীম আজাদ একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক ও সংস্কৃতিকর্মী। কবিতায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন। বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষা, বাংলা কবিতা অনুবাদ, বাংলাদেশের ইতিহাস প্রচার এবং দেশে মূলধারার কবি হিসেবে নিরন্তর অবদান রেখে চলেছেন। 

সত্তর দশকের কবি হিসেবে পরিচিত হলেও একক কাব্যগ্রন্থ আশির দশকের গোড়ার প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপর তিনি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের পরিবর্তন ও বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতার সঙে সঙে কবিতায় বাঁক বদল করতে সমর্থ হয়েছেন। শামীম আজাদ বর্তমান প্রজন্মের পাঠকের কাছেও পরিচিত ও আদৃত। তার কবিতাগ্রন্থ মেজাজে ও ভাবে রকমারি এবং বিষয়ে বৈচিত্র্যময়। উপমা ও রূপকের অভিনবত্ব তার কবিতার ছায়াকে অনায়াসে অন্য কবিতার ছায়া থেকে আলাদা করে দেয়। 

শামীম আজাদশামীম আজাদের ডায়াস্পোরিক অভিজ্ঞতা প্রসূত ভাব, বানী, শব্দ এবং প্রতীকগুলো বাঙালিয়ানায় রূপান্তরিত হয়ে বাংলা কবিতাতে নিয়ে আসে এক বৈশ্বিক আবহ। তিনি সিলেটের আঞ্চলিক শব্দ ও প্রমিত বাংলার শব্দের মিথস্ক্রিয়া ঘটান। তা এক ভিন্ন মাত্রা তৈরি করে। একই কবিতায় ক্রিয়া পদের দুইরূপ ব্যবহার করেন সমান পারঙ্গমতায়।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সংযুক্ততা ও প্রিয় শিক্ষকদের হারানো তার সৃষ্টিশীলতাকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকেন্দ্রিক করে রেখেছে সারাজীবন। প্রবাসে থেকেও তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকি ও প্রকাশনা থেকে শুরু করে অনলাইন পোর্টালে লিখে চলেছেন। কবি বেলাল চৌধুরী এবং কবি মাসুদুজ্জামানের সঙে দুইটি কাব্যগ্ন্রন্থ, ৮ টি একক কবিতা গ্রন্থ এবং বাংলা ও ইংরাজি প্রকাশনা মিলিয়ে শামীম আজাদের গ্রন্থ সংখ্যা চল্লিশোর্ধ।

শামীম আজাদ লন্ডনে বসবাস করেন। বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করা বাংলা ভাষার এ কবিকে পুরস্কৃত করে নজির স্থাপন করেছে বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হয়ে শামীম আজাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, স্থানীক অবস্থান নয়  বাংলাদেশের কবিতায় সামগ্রিক অবদান বিবেচনা করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, এ পুরস্কার উৎসর্গ করেছি আমার ৩ শহিদ শিক্ষক অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও অধ্যাপক আনোয়ার পাশাকে।

/লিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়