ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে মিত্রদের সঙ্গে বিতণ্ডায় ফ্রান্স
![ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে মিত্রদের সঙ্গে বিতণ্ডায় ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে মিত্রদের সঙ্গে বিতণ্ডায় ফ্রান্স](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/a31-2405211040.jpg)
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন ইস্যুতে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্স ও পশ্চিমা দেশগুলো।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যালান্ট এবং হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। সোমবার তিনি জানান, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালন্টের গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ জন্য দায় রয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।
ফ্রান্স গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সমর্থন জানিয়ে বলছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, এর স্বাধীনতা এবং সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে ফ্রান্স।
তবে ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে।
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস এবং ইসরায়েলের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‘সমীকরণের ভুল ধারণা তৈরি করেছে।’ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,‘আমরা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।...এটা স্পষ্ট যে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ইসরায়েল সবকিছুই করছে। আমাকে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে দিন, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, আইসিসির তৎপরতা যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মি মুক্তি বা গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন