হামাসের ত্রাণ চুরির কোনো প্রমাণ নেই: ইউএসএইড
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ত্রাণ চুরি করছে অভিযোগ তুলে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ত্রাণের প্রবেশই বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হামাসের ত্রাণ চুরির কোনো প্রমাণ নেই। শুক্রবার রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই তদন্ত প্রতিবেদন এর আগে প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড এর একটি ব্যুরো এই তদন্ত পরিচালনা করেছিল এবং জুনের শেষের দিকে এটি সম্পন্ন হয়েছিল। তদন্তে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে মার্কিন সাহায্য অংশীদার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট করা মার্কিন অর্থায়নে সরবরাহ চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার ১৫৬টি ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
রয়টার্সের দেখা ফলাফলের একটি স্লাইড উপস্থাপনা অনুসারে, “হামাস মার্কিন অর্থায়নে সরবরাহ থেকে উপকৃত হয়েছে বলে অভিযোগ করা কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।”
পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এই প্রতিবেদনের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, হামাসের ত্রাণ লুট করার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে। তবে এমন কোনো ভিডিও সরবরাহ করা হয়নি। তার দাবি, ঐতিহ্যবাহী মানবিক গোষ্ঠীগুলো ‘দুর্নীতি ঢাকতে সহায়ক’ ভূমিকা পালন করেছে।
বিষয়টির সাথে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, ইউএসএআইডেরর মহাপরিদর্শকের অফিস ও মধ্যপ্রাচ্য নীতির সাথে জড়িত পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে এই তথ্য ভাগাভাগি করা হয়েছে এবং বিধ্বস্ত ছিটমহলে তীব্র খাদ্য সংকট তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথেই এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজার ২১ লাখ ফিলিস্তিনিদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি, হাজার হাজার মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। গাজায় ইতিমধ্যে শতাধিক মানুষ অনাহারে মারা গেছে।
ঢাকা/শাহেদ