বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ আনছে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য একটি নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এই বিশেষ নৌবহরের নাম দিয়েছেন ‘গোল্ডেন ফ্লিট’।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য নতুন এই পরিকল্পনা উন্মোচনা করেন।
এই বিশেষ শ্রেণির যুদ্ধজাহাজগুলোর নাম রাখা হয়েছে ‘ট্রাম্প-ক্লাস’ এবং এই শ্রেণির প্রথম জাহাজটির নাম হবে ‘ইউএসএস ডিফায়েন্ট’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, এই নতুন যুদ্ধজাহাজগুলো হবে এযাবৎকালের নির্মিত যেকোনো যুদ্ধজাহাজের তুলনায় ‘১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী’।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি প্রাথমিকভাবে দুটি জাহাজ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন, তবে এ ধরনের ২৫টি যুদ্ধজাহাজ মার্কিন নৌবাহিনীতে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং নৌবাহিনীর সচিব জন ফেলান উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্পের মতে, এই জাহাজগুলোতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেলগান এবং শক্তিশালী লেজার অস্ত্র থাকবে। এছাড়া এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিখ্যাত ‘আইওয়া-ক্লাস’ জাহাজের চেয়েও এগুলো আকারে বড় হবে। একেকটি জাহাজের ওজন হবে প্রায় ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, এই জাহাজগুলো ২০৩০ সাল নাগাদ মার্কিন নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া শুরু হতে পারে।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “আপনারা জানেন, আমাদের জাহাজের তীব্র প্রয়োজন। এগুলো হবে সবচেয়ে দ্রুত, বৃহত্তম এবং এখন পর্যন্ত নির্মিত যেকোনো যুদ্ধজাহাজের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।”
আরটির প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছিলেন যে, জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। ট্রাম্পের এই ‘গোল্ডেন ফ্লিট’ মূলত চীনের ক্রমবর্ধমান নৌ-শক্তির মোকাবিলা এবং সমুদ্রে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার একটি কৌশল।
যদিও ট্রাম্প সরাসরি চীনের প্রসঙ্গটি সামনে আনেননি। নতুন যুদ্ধজাহাজগুলো চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে তৈরি কিনা জানতে চাইলে, ট্রাম্প বেইজিংকে এককভাবে উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটি সব শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই।”
ঢাকা/ফিরোজ