ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ১৭ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:০৪, ১৭ নভেম্বর ২০২০
কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলা করেন মো. রহিম নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ৩ ডিসেম্বর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার হোসেন।

মামলার বাদী মো. রহিম এ তথ্য জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রহিম গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে  চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর আসলে অজ্ঞাতনামা তিনজন তার গতিরোধ করেন। তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়।

পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করেন। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তারপর তারা রহিমকে দোকান থেকে বের বাবু বাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যান। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এই তিনজন নিজেদের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা বের করে বলেন, এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো। এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেন। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে থানায় নিয়ে যান। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেন। রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন। তাকে বলেন, তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি।’

অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, দাবিকৃত টাকা পেয়ে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পান রহিম।

মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ওসি মিজানুর রহমান ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল। পরে অজ্ঞাতকারণে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়