ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার

ফরিদপুরের মেয়রের জামিন, নির্বাচনের আগের দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ৭ মে ২০২৪   আপডেট: ১৯:০৯, ৭ মে ২০২৪
ফরিদপুরের মেয়রের জামিন, নির্বাচনের আগের দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে

‘দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ১২ নং ওয়ার্ডের কমিশনার গোলাম মো. নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে, নির্বাচনের আগের দিন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আসামিরা অবগত হওয়ার পরেই তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল একই আদালত ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে সিআইডির দেওয়া সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৩০ মে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ওই ৩৬ আসামির মধ্যে এই তিন জনও ছিলেন। ৪৬ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, এ এইচএম ফুয়াদ কারাগারে রয়েছেন। ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলনসহ সাত আসামি জামিনে আছেন।

জানা যায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে ২০২২ সালের ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

সে নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলো সিআইডি। 

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়