ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

এসবি ইন্সপেক্টর খুন

মেয়ে ঐশীকে খুঁজছে পুলিশ

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৭, ১৬ আগস্ট ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
মেয়ে ঐশীকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ১৭ আগস্ট : নিজ বাসায় খুন হওয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মেয়ে ঐশী রহমান (১৭) এবং তাদের গৃহকর্মীকে (১০) খুঁজছে পুলিশ।

এ দু’জনকে খুঁজে বের করতে পারলেই আসল খুনীর পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এমন তথ্যই জানিয়েছেন।

তবে এ খুনের সঙ্গে কারা যুক্ত এবং খুন হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছুই জানায়নি পুলিশ।

তবে বাসার ম্যানেজার আমজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঐশী, তার ছোটভাই ওহী ও কাজের মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে ঐশী ম্যানেজারকে খালুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে।

তিনি আরও জানান, মা-বাবার অনুমতি ছাড়া ঐশীর বাইরে যাওয়া নিষেধ ছিল। চলতি মাসের ৪ তারিখে ভাড়া পরিশোধ করতে এসে ম্যানেজারকে এমন নির্দেশ দেন ঐশীর বাবা মাহফুজুর রহমান।

বৃহস্পতিবার ঐশী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ম্যানেজার বাধা দিলে সে তার মায়ের দোহাই দিয়ে বেরিয়ে পড়ে।

এসবির ডিআইজি (পলিটিক্যাল) মোশাররফ হোসেন ভূইয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঐশী তার মা স্বপ্না রহমানের মোবাইল থেকে খালু ইফতেখায়রুল আলমকে কল দেয়। তখন সে জানায়, ‘আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে গেছি, আপনার বাসায় আসছি।’ এ কথা বলেও ঐশী তার খালুর বাসায় যায়নি।

ওহীর বরাত দিয়ে ডিআইজি আরও জানান, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ছোট ভাই ওহীকে ঐশী বলে, ‘বাবা-মা বাসায় নেই। চলো আমরা খালুর বাসায় যাই।’ তারপর তারা সেখান থেকে কোনদিকে যায়, সেটাও স্পষ্ট করে বলতে পারেনি সাত বছরের ওহী। তার কাছ থেকে কেবল জানা গেছে, শুক্রবার কাকরাইল থেকে তার বোন তাকে সিএনজি অটোরিকশা করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সারারাত কোথায় কাটিয়েছে এ প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায়নি ওহীর কাছ থেকে।

এদিকে শুক্রবার ওহীকে বাসায় পাঠানোর আগে ঐশী তাকে বলে, ‘তুমি বাসায় চলে যাও। বাসার নিচে মামা আছে। আমরা পরে আসছি।’

দুপুরের দিকে ওহী বাসায় এসে নিচে ঘোরাফেরা করতে থাকে। তার কিছুক্ষণ পরে খালু ইফতেখায়রুল আলম ও তার ভাই রবিউল বাসায় আসেন।

তারাও জানে না ঐশী ও গৃহকর্মী কোথায় আছে। কারও কোনো খোঁজ না পেয়ে বিকেলের দিকে দরজা ভেঙে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তখনই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের গলিত লাশ একটি শয়নকক্ষের পাশের বাথরুম থেকে উদ্ধার করে। আর ওই রুমটি ছিল ঐশীর।

পুলিশ জানায়, নিহত দম্পতির রুমের বিছানা ও কাপড় এলোমেলো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাদের সেখানেই হত্যা করে পরে ঐশীর বাথরুমে নিয়ে আসা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-মতিঝিল জোন) মেহেদী হাসান জানান, বাসাটির ভেতর থেকে তালা দেয়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুইদিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দা ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঐশী ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘ও’ লেভেলে পড়ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বাসার কেয়ারটেকার শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘ঐশীকে বাসা থেকে বের হতে দেয়া হতো না। কোথাও গেলে তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই যেতো।’

এমনকি বাসায় তেমন কোনো আত্মীয়স্বজনেরও আসা-যাওয়া ছিল না বলে জানান তিনি।

এদিকে শুক্রবার রাতে পুলিশ বাসার দুই কেয়ারটেকার শাহীন ও আলতাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

 

 

রাইজিংবিডি/ এমএএস

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়