‘স্বাধীনতার ইতিহাসে বেতারের ভূমিকার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বেতারের ভূমিকার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব‌্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তর আয়োজিত র‌্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব‌্য করেন।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব খাজা মিয়া।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছেন, তারা জানেন, এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের মাঝে কি উদ্যম-উদ্দীপনা জাগাত সে সময়ের অনুষ্ঠান। মানুষ কি উন্মুখ হয়ে থাকত তা শোনার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে প্রথম পাঠ করেন এম এ হান্নান। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন, পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটি শোনানো প্রয়োজন।’

শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামেই নয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনেও বেতার ভূমিকা পালন অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব‌্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ বেতার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতির নানা বিষয় পৌঁছে দিচ্ছে, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লাদের কাছে বেতারই সম্বল। পাহাড়ের চূড়াতেও বেতারই শোনা যায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষাসহ বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বার্তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বেতার।’

এ বছর ইউনেস্কো ঘোষিত বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য— নতুন বিশ্ব নতুন বেতার, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ বেতার এখন মোবাইল অ্যাপসে শোনা যায়। এ পর্যন্ত দেশের আটটি বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান অ্যাপসের আওতায় এসেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেশব্যাপী সম্প্রচার শুরু হয়েছে।