ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নির্বাচনের জন্য অর্থ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইসি’র চিঠি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  
নির্বাচনের জন্য অর্থ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইসি’র চিঠি

নির্বাচন কমিশনকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ হাজার ৪৭১টি নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার ৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সিলেট-৩ ও কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন এবং কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করার জন্য ৪১৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে।

নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবির সম্প্রতি সিনিয়র অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে নিকট ভবিষ্যতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত তহবিল চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ইসি সচিব জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশে ৪ হাজার ৪৭১টি নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্য কাজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন।

অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন আগামী তিন মাসের মধ্যে যেসব নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে, সেজন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কারণ, করোনার জন‌্য বেশকিছু নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার তেমন আশঙ্কা নেই, তাই নির্বাচন কমিশন স্থগিত থাকা নির্বাচনগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে করতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরের মধ্যে ধীরে ধীরে সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে চায় সংস্থাটি। এ নির্বাচনগুলো চার ধাপে হতে পারে। নির্বাচন কমিশন চলতি মাসের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।

জানা গেছে, নির্বাচনের আগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। 

নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে চায়। কারণ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং শিক্ষকদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর জেলা পরিষদ নির্বাচন করবে। নভেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিজয়ীদের নাম গেজেট করা হবে। জেলা পরিষদের ভোটার তালিকা সেই জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তৈরি করা হবে। সেই ভোটার তালিকার ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে। ৬১টি জেলা পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৬ সালে ২৮ ডিসেম্বর হয়েছিল।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়