‘নির্যাতন-সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বাল্য বিয়ে নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। যা নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব ধরনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশের সরকারের পক্ষে একা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব না। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যমসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা,  উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পুনর্গঠন ও সক্রিয় করা হয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো। এছাড়া, ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথারিন ডি স্টিভেন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন।