বেইলি রোডে আগুন: আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বিবৃতি
![বেইলি রোডে আগুন: আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বিবৃতি বেইলি রোডে আগুন: আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বিবৃতি](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024March/fire-accident-20240301090829-2403031536.jpg)
রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কজিকটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়। শুধু জয়েন্ট ভ্যানচারে নির্মাণ কাজটি (ডেভেলপার হিসেবে) আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সম্পন্ন করেছে। এই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় রাজউকের বিল্ডিং কোডসহ সংশ্লিষ্ট সকল নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) রাতে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের জনসংযোগ প্রধান গাজী আহমেদ উল্লাহ্ এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে আমিন মোহাম্মদ পরিবার বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আপনারা এরইমধ্যে শুনেছেন বেইলি রোডের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা সর্বদাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি তদন্তাধীন। প্রচলিত আইনে তদন্তের পর আমার সঠিক ও ন্যায়বিচার পাব বলে প্রত্যাশা করি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে অর্থাৎ ৯ বছর আগে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে মালিকানাও হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ভবনের কার্যক্রম পরিচালনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে গ্রিন কোজি কটেজ স্পেস ওনার অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার রাতে রমনা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সি। তিনি জানান, ওই ঘটনায় আদালতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আসামি করা হয়েছে- ভবনটিতে থাকা ফাস্টফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কজিকটেজের স্বত্বাধিকারী বলে উল্লেখ করা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০)।
এরপরই ‘ভবনটির মালিক বা স্বত্বাধিকারী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়’ জানিয়ে বিবৃতি দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
আরো পড়ুন