ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষা করতে চাই, পর্যটন বন্ধ করে নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৭ অক্টোবর ২০২৪  
‘সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষা করতে চাই, পর্যটন বন্ধ করে নয়’

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফেউজ্জামান বলেছেন, আমরা সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চাই, তবে পর্যটন বন্ধ করে দিয়ে নয়। বরং পরিবেশের অনুকূলে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। 

সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট আয়োজিত রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথ বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি, এইচআর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জোটের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ট্যাব) সভাপতি ইমরানুল আলমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, আমাদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে কোনও পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবে না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিনে ২০০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে সরকার পর্যটক যাতায়াত বন্ধ রাখবে। এতে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বশান্ত হয়ে যাবে।

সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করে। এরা সবাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত করা হলে অথবা বন্ধ করা হলে এরা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেই সাথে উদ্যোক্তাদের আর্থিক বিনিয়োগ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। ফলে তিনি সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া ও রাত্রিযাপন বন্ধ করলে রাজপথে পথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন বন্ধ করবো না। 

সংবাদ সম্মেলনে সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়্যারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করে রাত্রিযাপনসহ যাবতীয় বিধিনিষেধ ছাড়া পর্যটন চালু রাখা এবং টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে। 

তিনি দাবি করেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশসহ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। দ্বীপে লোনা পানি, মিঠা পানিতে পরিণত করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট-প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। পচনশীল বর্জ্য ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বায়োগ্যাসে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বীপে জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব সোলার প্লান্ট স্থাপন করতে হবে এবং ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ব্যবহার করে স্থায়ী স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে টুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (টোয়াব) এর নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার’র নেতৃবৃন্দ, সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের নেতৃবৃন্দ, ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ট্যাব) এর নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা নেতৃবৃন্দ, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন নেতৃবৃন্দ, সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বোট মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ, মৎস্যজীবী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (স্কুয়াব) এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আসাদ/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়