ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

ফিরে দেখা ২০২১: কোন্দল-বিশৃঙ্খলা সামাল দিয়ে দল গোছানোয় নজর ছিল আ.লীগের

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ০৮:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
ফিরে দেখা ২০২১: কোন্দল-বিশৃঙ্খলা সামাল দিয়ে দল গোছানোয় নজর ছিল আ.লীগের

অভ্যন্তরীণ কোন্দল, স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে বিভেদ এবং দলের বিভিন্ন স্তরে বিশৃঙ্খলা সামাল দিয়ে চলতি বছর দল গোছানোর দিকে নজর ছিল আওয়ামী লীগের। ২০২১ সালের শুরুতে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়লেও বছরের শেষদিকে তা ব্যাপকভাবে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। বিশেষ করে ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন হচ্ছে একের পর এক।

চলতি বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে আওয়ামী লীগ। গত বছর অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও এ বছরই বেশি অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জার বক্তব্য নাড়া দেয় জাতীয় রাজনীতিতে। ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিষয়ে তার বক্তব্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বিব্রত হন। বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাওয়ার পর কিছুটা থামেন কাদের মির্জা।

এ বছর দ্বন্দ্বে জড়ান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন একে অপরের বিরুদ্ধে।

বছরের মাঝামাঝিতে ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন বানিয়ে তাতে পদ দেওয়ার প্রচার চালিয়ে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বছরের শেষদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পদ হারান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় দলের মধ্যে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়ান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নৌকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হন অনেকে। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে দল মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা জানায় আওয়ামী লীগ।

বছরের শেষদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ নির্দেশনার পরই পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। জামালপুর আওয়ামী লীগ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, এ বছর করোনাকালীন সংকট পেরিয়ে সাংগঠনিক কাজে হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে মহানগর কমিটির সম্মেলনগুলো ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বাড়ানো এবং মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ইউনিটগুলোর সম্মেলন আয়োজনের নিদের্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।  

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়