পল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: মেসবাহ য়াযাদ
নয়াপল্টনে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারী এবং দলটির নেতাকর্মীসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭/৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করেছে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুরের পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী দলটির অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলে। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারপরই বেলা দুইটার দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই এলাকায় দায়িত্বরত সংবাদকর্মীদের অনেকে আহত হন। এসময় বিএনপির কর্মীরা আশপাশের গলিতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তারা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষের সময় ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের শুরুতে রাস্তায় চলাচলকারী বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়িতেও ইট মেরে বেশ কয়েকটির গ্লাস ভেঙে দেয় বিএনপি কর্মীরা। এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মীদের ঠেকাতে পুলিশের সহযোগিতায় সোয়াট টিমের সদস্যরা যোগ দেন।
মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হেদায়েতুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১০ তারিখের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে মিছিল-মিটিং করতে থাকে। তাদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে চারটা) নয়াপল্টন এলাকার আশপাশের গলিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। পরিস্থিতি পুলিশের আয়ত্বে রয়েছে। নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশ, সোয়াটসহ সাদা পোশাকে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
মাকসুদ/মেয়া/এনএইচ
আরো পড়ুন