১৫ দিন ধরে তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়
২৯ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত ১৫ দিন ধরে তালাবদ্ধ নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুটি কলাপসিবল গেট। চতুর্থ দফার অবরোধেও কার্যালয় ঘিরে নেই কোনো নেতাকর্মীর আনাগোনা। এমনকি অবরোধের সমর্থনেও কার্যালয়ের সামনে কিংবা এই এলাকা কোনো ধরনের কর্মসূচিও পালন করতে দেখা যায়নি কাউকে। তবে বরাবরের মতোই কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
১৫ দিন ধরে তালাবদ্ধ থাকার কারণে কার্যালয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরাও এই কয়দিনের মধ্যে কার্যালয়ের ধারে কাছে আসেননি। কার্যালয়টির ডান পাশের পূবালী ব্যাংকের সামনে এবং বাম পাশে হোটেল ভিক্টরির সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। রাখা আছে ব্যারিকেডও। কার্যালয়টির সামনে ফুটপাতটিও বন্ধ। মানুষজন চলাচল করছেন সড়ক দিয়ে। রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া নেই কোনো গণপরিবহন। আশপাশের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ।
দলীয় কার্যালয় ১৫ দিন ধরে তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার শুধু বিএনপি কার্যালয় নয়, সারাদেশকে ‘তালাবদ্ধ’ করে রেখেছে।
রিজভী বলেন, যেসব জায়গায় আমরা সংবাদ সম্মেলন করতাম, বিশেষ করে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, পুলিশ দলীয় সে কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা সেখানে তালা মেরে সামনে অবস্থান করছে। তালা মারার এই পরিস্থিতি শুধু পার্টি অফিসে নয়, ওরা সারাদেশেই তালা মেরে রেখেছে।
তিনি বলেন, ওরা তালা মেরে এবং বন্দি করে রেখেছে গণতন্ত্রকামী মানুষকে। যাতে মানুষ কথা বলতে না পারে, যাতে তারা সত্য উচ্চারণ করতে না পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচি শেষে আজ রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সম্মিলিতভাবে বিএনপি এবং সমমনা দল ও জোট।
/মেয়া/এসবি/