ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৫ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১২ ১৪৩১

গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপি ও সমমনাদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ১৭ জুলাই ২০২৪  
গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপি ও সমমনাদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে মিছিলসহকারে বের হওয়ার পথে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। 

আজ বুধবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট দিয়ে বেরুনোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। এক পর্যায়ে তারা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিপরীতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।   

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজার নামাজ আদায় করেন বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাকর্মীরা। জোহরের নামাজ শেষে মূল মসজিদের উত্তর দিকের বারান্দায় গায়েবানা জানাজা হয়।

নামাজে অংশগ্রহণ করা বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, বারোটার পরপর গায়েবানা জানাজা নামাজকে কেন্দ্র করে পুলিশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে রণসাজে সজ্জিত হয়ে কঠোর অবস্থান নেয়। এই অবস্থায় সিনিয়র নেতা ছাড়া যারাই প্রবেশ করতে গেছেন, তাদের অনেককেই আটক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সাড়ে বারোটা থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটক করতে থাকে। এ অবস্থায় বিকল্প অন্য একটি পথ দিয়ে কিছু নেতাকর্মী প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। বাদ জোহর মসজিদের ভেতরেই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আহমেদ আজম খান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শরীফুল আলম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, টকশো ব্যক্তিত্ব ডা. শাখাওয়াত হোসেন শায়ন্ত, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার আসাদুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

এ সময় গ্রেপ্তার এবং পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে বিএনপির ও সমমনা দলের অসংখ্য নেতাকর্মী বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করতে না পেরে আশপাশের অলি-গলিতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক, রফিকুল ইসলাম বাবলু, জোনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শামসুল আলম প্রমুখ ছিলেন।

জানাজা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সরকার নিজেরা সমাধান করতে পারতো। কিন্তু পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দেব।

এরপর মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হন। এ সময় পুলিশ উত্তর গেইট পুরোটা খুলে না দিলে মুসল্লিরা পুরো গেইট খুলে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সামনে এগুতে শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নিয়েছে।  

মেয়া/তারা


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়