ঢাকা     রোববার   ০২ এপ্রিল ২০২৩ ||  চৈত্র ১৯ ১৪২৯

হিলির আলু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৩:৫১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

দিনাজপুরের হিলি হাটের আলু যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাটে চলে আলুর বেচাবিক্রি। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ মণ আলু কেনাবেচা হয় এখানে। আলুর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে হিলি সীমান্তের মাধবপাড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের চারপাশে বসেছে বিশাল আলুর হাট। শুধু আলু মৌসুমকে কেন্দ্র করে ৪০ থেকে ৫০ দিন বসে এই হাট। হাটের আশপাশে পলি অঞ্চল হওয়ায় সেখানে ব্যাপক আলুর চাষ হয়। ফলে আলু চাষিরা মাধবপাড়া গ্রামের এই হাটে এসে কাঙ্খিত দামে নিজেদের উৎপাদিত এই খাদ্য পণ্যটি ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও রংপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছে দাম দর করে বিক্রি করতে পারেন। 

বর্তমানে এই হাটের আলুর দাম চলছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা মণ। প্রতিকেজি আলুর দাম আসছে ১৯ থেকে ২০ টাকা কেজি। প্রথম দিকে এই আলুর মণ ছিলো ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা।

চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে হয়েছে আলুর বাম্পার ফলন। গতবার টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় সবজিটির। এবার আলুর ভালো ফলন হওয়ায় আগের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।

আলুচাষি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এবার ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। গত বারের চেয়েও এবার আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আজ ১৮ মণ আলু নিয়ে আসছি। ৭৫০ টাকা মণ বিক্রি করলাম।’

অপর চাষি হেসাব আলী বলেন, ‘আড়াই বিঘা আলু চাষ করেছি। আজ প্রথম আলু হাটে নিয়ে আসলাম। দেখি আড়ৎদাররা কি দাম বলেন।’

স্থানীয় আড়ৎদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই অঞ্চলের কৃষকরা আমার এখানে আলু দিয়ে যায়। পরে আমি তা দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে দেই। আবার বাইরে থেকেও পাইকাররা এসে আলু কিনে নিয়ে যান। আজ আমরা ৭৪০ থেকে ৭৬০ টাকা মণ আলু কিনছি।’

পাবনা থেকে আসা আলুর পাইকার রাজু মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে এই গ্রামের হাট থেকে আলু কিনছি। আলু কিনে তা ট্রাকে করে নিয়ে যাই। আজকে ২০০ বস্তা আলু কিনেছি। দাম পরেছে ৭৪০ থেকে ৭৬০ টাকা মণ।’

হাটের ইজরাদার স্বপন বলেন, ‘আলুর মৌসুমে এখানে ৪০ থেকে ৫০ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাট বসে। এই আলু কিনতে স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসেন। আমরা তাদের ব্যবসায়ীক সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। এই হাটে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ মণ আলু ক্রয়-বিক্রয় হয়। মণপ্রতি ৬ থেকে ৭ খাজনা নিয়ে থাকি।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়