ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলেকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

এমএ খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ৮ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলেকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বসুন্ধরার গ্রুপের আইটি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়ার মামলায় বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলেকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

রোববার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।

 

এদিন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

 

মামলার স্পেশাল পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই বাবরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় আসামি শাহ আলম ও তার দুই সন্তান সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান পলাতক ছিলেন। পরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এবং ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি নেন। তারা জামিন নিলেও আদালত তাদের অভিযোগ পাঠ করে শোনাতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে পারছে না। তাই তাদের অভিযোগ পাঠ করে শোনানোর জন্য আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার শুনানিতে তাদের একজন অসুস্থ এবং দুজন বিদেশে আছেন মর্মে সময় প্রার্থনা করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

 

অন্যদিকে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ।

 

মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পলাতক। তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুর উদ্দিন অপু, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামালও এ মামলার আসামি।

 

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা নেন। এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের ব্যক্তিগত সহকারী অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৭/এমএ খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়