ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পর্দা ওঠার অপেক্ষায় কোটি টাকার বিপিএলের

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ২০ জানুয়ারি ২০২২  
পর্দা ওঠার অপেক্ষায় কোটি টাকার বিপিএলের

একেকটি দলের খেলোয়াড়দের খরচসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ৫ কোটি টাকা। দল পরিচলনায় সম্ভাব্য ব্যয় সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। অথচ তারাই কি না লড়ছে মাত্র ১ কোটি টাকার বিপিএলে! তাও ভালো, শেষ বিপিএলে তো প্রাইজমানিই ছিল না। আকর্ষণীয় ট্রফিতেই রাজশাহী রয়্যালসের চ্যাম্পিয়নশিপ উদযাপন শেষ। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লা যে-ই চ্যাম্পিয়ন হোক, তাদের কোষাগারে জমা হবে ১ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের যাত্রা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) থেকে। টুর্নামেন্টের মূল পৃষ্ঠপোষক বিবিএস কেবলস, পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট- তিন ভেন্যুতে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। মোট ২৭ দিনে ৩৪ ম্যাচ। দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এই আসরের। রাতের ম্যাচ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় খেলবে মিনিস্টার ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স। ফলে শুরুর দিনই মাঠে পাওয়া যাবে সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকদের। মাশরাফিরও থাকার কথা ছিল। ঢাকার এই পেসার অনুশীলনে হঠাৎ চোট পান। শুরুর দিকে কয়েক ম্যাচ তাকে ছাড়াই খেলতে হবে ঢাকাকে।

করোনাভাইরাসের কারণে মাঝের দুই মৌসুম বিরতি গেছে বিপিএলে। এ টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর হয়েছে ২০১৯–২০ মৌসুমে। গত ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় ড্রাফট থেকে এবারের দল নির্বাচন করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এর আগে সরাসরি চুক্তিতে ছয় দল দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নেয়। শক্তিতে ও নামে টুর্নামেন্টে হট ফেভারিট মাহমুদউল্লাহর ঢাকা, লিটন-মোস্তাফিজদের কুমিল্লা ও সাকিবের বরিশাল। এছাড়া মিরাজের চট্টগ্রাম, মোসাদ্দেকের সিলেট ও মুশফিকের খুলনাকে পিছিয়ে রাখা যাবে না মোটেও।

প্রায় একই সময়ে, বিপিএল শুরুর ৬ দিন পর ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পর্দা উঠবে। এজন্য ভালোমানের বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যায়নি। তবে ফাফ ডু প্লেসি, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলী, সুনীল নারিন ও ডোয়াইন ব্রাভোদের উচ্চমূল্যে নিয়ে চমক দেখিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বরাবরের মতো এবারো তাই বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে, দায়সারা আয়োজনে। মাঠে গড়ানোর আগে আয়োজকরা সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন ডিআরএস আনতে না পেরে। বর্তমান সময়ে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ব্যবহার করা হয় ডিআরএস। অথচ বিশাল মহাযজ্ঞে সেই সুবিধাটা পাচ্ছেন না খেলোয়াড়রা।

বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার আনার বেলাতেও পিছিয়ে বিপিএল। স্থানীয়দের ওপরই রাখতে হচ্ছে ভরসা। সাধারণ দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন। কোভিডের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়োজকরা শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের গ্যালারিতে জায়গা দেবে।

এ বছর বিপিএল আয়োজনের পরই আবার দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দল খুঁজবে বিসিবি। বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিশ্বাস, পরবর্তীতে আসর থেকে বিপিএল হবে গোছানো, পরিপাটি। সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে।

মাঠে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা আছেন। ফলে দর্শকদের চোখ বিপিএলে থাকবেই। গেইল-রাসেলদের ছক্কা বৃষ্টি কেউ কি না দেখতে চান! ফলে প্রায় একমাসের টি-টোয়েন্টি জ্বরেই যে কাঁপবে বাংলাদেশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টেলিভিশনে দুটি চ্যানেলে দেখা যাবে বিপিএল- জিটিভি ও টি স্পোর্টস।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়