সাকিবের ‘বিপিএল জ্ঞান’ নিয়ে সন্দিহান বিসিবির সিইও

বিপিএল আট আসর পেরিয়ে নয়ে পা রাখার অপেক্ষায়। রাত পোহালেই বিপিএলের নতুন আসরের পর্দা উঠবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দিয়ে। মাঠে বিপিএল গড়াচ্ছে অথচ কোনো উত্তাপ নেই। সব আয়োজন, দৌড়ঝাঁপ যেন শুধুমাত্র শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকেন্দ্রিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিকিট বিক্রিতেও নেই কোনো ব্যস্ততা। এছাড়া মাঠেও যে আয়োজন, তাও যেন যাচ্ছেতাই। গতকাল পর্যন্ত দুই দলের জার্সি ছিল না। বিসিবি ব্যবস্থা করতে পারেনি ডিআরএসের। অফিসিয়াল ট্রফি উন্মোচনে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি বিপিএলের অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি।
প্রতি বছর এসব দেখেই ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে সাকিব। বিপিএল এখনও ভালো মানদণ্ড না পাওয়ায় বিরক্ত দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। এজন্য সমালোচনা করেছেন কড়া ভাষায়। বিসিবির সদিচ্ছার অভাব, পরিকল্পনার ঘাটতি, বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়া বিসিবির সাংগঠনিক ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি। সঙ্গে যোগ করেছেন বিপিএলের দায়িত্ব পেলে দুই মাসেই সব ঠিক করে দেবেন।
সাকিবের এমন কড়া সমালোচনায় বিসিবি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার বোর্ড নিয়ে সরাসরি এমন মন্তব্য করায় ভেতরে ভেতরে ফুঁসছে বলেই জানা গেছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে সাকিবের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতে অনেকটাই পাশ কাটিয়ে গেছেন তিনি। তবে সাকিব বিপিএল সম্পর্কে কতটুকু তথ্য জানেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
বোর্ডের সিইও বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নিই যে, তিনি (সাকিব) কোন প্রেক্ষাপটে কথাটা বলেছেন বা কতটুকু তথ্য উনার কাছে ছিল। আমাদের সীমাবদ্ধতা জানলে এসব কথা উনি বলতেন কী না, আমার সন্দেহ। এর বাইরে কিছু বলা আসলে ঠিক হবে না।’
তবে সীমাবদ্ধতার কথা বোর্ডের প্রধান নির্বাহী খোলাসা করেননি সংবাদ সম্মেলনে। আট আসরের পূর্বের অভিজ্ঞতা তার কাছেও সন্তোষজনক নয় বলেই শোনা গেলো। বরাবরের মতো এবারও আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি, ‘আমরা চাই বিপিএলের মান আরও বৃদ্ধি পাক। আমাদের যে সীমাবদ্ধতা তা সামলে নিয়ে সামনে পথ চলা আরো মসৃণ হবে এমনটাই কাম্য।’
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন