জিম্বাবুয়েকে ম্লান করে আয়ারল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল কেবল ১৫৮ রান। তাড়া করতে নেমে ২১ রানেই তাদের অর্ধেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগ্রাভার বিধ্বংসী বোলিংয়ে স্রেফ এলোমেলো স্বাগতিকরা। জয়ের পাল্লা জিম্বাবুয়েরই ছিল ভারী। আয়ারল্যান্ডের জয়ের জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বিকল্প ছিল না।
রোববার (২৮ জুলাই) ম্যাচের চতুর্থ দিনের সকালে সেই কাজটাই করেন লোরকান টাকার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। দুজন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন। তাতেই ম্যাচটা নাগালে চলে আসে আইরিশদের। নতুন বলে জিম্বাবুয়ে যে দাপট দেখিয়েছিল সেই ধার চতুর্থ দিনে কমতে থাকে। সেই সুযোগটি নিয়ে দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান তুলে নেন ফিফটি। পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন দুর্দান্ত এক জয়। টাকার ৫৬ ও ম্যাকব্রিন ৫৫ রান করেন।
জিম্বাবুয়ের দিনের একমাত্র সাফল্য ছিল টাকারের উইকেট। তাকে বোল্ড করেন পেসার মুজারাবানি। কিন্তু ততক্ষণে জয় একেবারেই নাগালে চলে আসে আইরিশদের। ম্যাকব্রিনকে সপ্তম উইকেটে সঙ্গ দেন মার্ক আডায়ার। ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তাতে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয় আয়ারল্যান্ডের।
জিম্বাবুয়ে এ ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখতে ও জয় পেতে সব চেষ্টাই করেছিল। কিন্তু শেষ প্রান্তে টাকার ও ম্যাকব্রিনের প্রতিরোধে জয় ফসকে বেরিয়ে যায়।
বেলফাস্টে এই টেস্টে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। দুই দলের চার ইনিংস মিলিয়ে সেঞ্চুরি হয়নি একটিও। ফিফটি হয়েছে পাঁচটি। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেছেন পিটার মুর।
আয়ারল্যান্ডের জন্য এই জয়টা ঐতিহাসিক। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল তারা। সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো। সবশেষ মার্চে তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল। তাদের জয়ের নায়ক ম্যাকব্রিন বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ৮৩ রান করেছেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
ইয়াসিন/আমিনুল