সুস্থ থাকতে নতুন বছরের শুরু থেকেই চারটি নিয়ম মেনে চলুন
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
নতুন বছরটি ভালোভাবে শুরু করার পরিকল্পনা করছেন?— ভালো থাকা- না থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে সুস্থতার ওপর। তাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। মাত্র চারটি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ থাকা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে।
পাকস্থলীকে বিশ্রাম দিন
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পাকস্থলীকে বিশ্রাম দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এজন্য রাতের খাবার গ্রহণ শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে পারেন। পরের দিনের প্রাতরাশ খেতে হবে সকাল ৯টার মধ্যে। মাঝের সময়টুকু পেটকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে। এতেই রক্তে বাড়তি শর্করা শোষিত হয়ে যাবে।
প্রতিবারের খাবারে কমপক্ষে
প্রতিবেলার খাবারে অন্তত ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন রাখতে হবে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘খাবার খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে এই বৃদ্ধি ধীরে ধীরে হয়।’’— এই অভ্যাস গড়ে তুললে রক্তে শর্করার পরিমাণে ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে প্রোটিন হিসেবে রেড মিট গ্রহণ করার চেয়ে মাছ, ডিম অথবা চর্বি ছাড়া চিকেন গ্রহণ করা ভালো।এ ছাড়া নানা রকম ডাল, বিন, সয়াবিন, দুধ, ছানা, পনিরও খেতে পারেন।
পেশির ব্যায়াম
পেশি সুস্থ রাখতে হলে বাড়িতেই স্কোয়াট, লেগ রেজ, স্পট জগিং অথবা পুশ-আপের মতো ব্যায়াম করতে পারেন। অথবা পেশির সক্রিয়তা বাড়ে—এমন কাজ করতে পারেন। এতে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। পেশির খুব ব্যবহার হয়, এমন ব্যায়াম বা কাজ খালি পেটে না করে, কিছু খেয়ে তারপর করা ভালো।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
সুগারের সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। কম ঘুম বা অনিদ্রা সুগারের মাত্রা কয়েক গুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই রোজ ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুম জরুরি। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলেই ডায়াবিটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।
ঢাকা/লিপি