ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৯০ শতাংশ অভিবাসনকর্মী দুর্নীতির শিকার

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৯০ শতাংশ অভিবাসনকর্মী দুর্নীতির শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল ও প্রায় পুরোটাই দালাল নির্ভর। ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ৯০ শতাংশ অভিবাসনকর্মী দুর্নীতির শিকার হচ্ছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির সম্মেলনকক্ষে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন : সমস্যা ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। টিআইবির পক্ষ থেকে মনজুর-ই-খোদা ও শাহাজাদা এম আকরাম গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, পুরো অভিবাসন প্রাক্রিয়াটি জটিল ও দীর্ঘ। পাশাপাশি প্রায় পুরোটাই দালাল নির্ভর। ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে অভিবাসন কর্মীর সরাসরি যোগাযোগ প্রায় অনুপস্থিত। বিদেশে নিয়োগ ও কাজের শর্তাবলী সংক্রান্ত তথ্য, অভিবাসনসংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদির জন্য অভিবাসিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালালদের ওপর নির্ভরশীল। ভিসা সংগ্রহ থেকে শুরু করে বহির্গমন ছাড়পত্র ও স্মার্ট কার্ড পাওয়া পর্যন্ত ২৪ থেকে ২৭টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। আর প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। ভিসা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালালদের অর্থ দেন। ফলে অভিবাসন খরচ দুই থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পায়।  উদাহরণস্বরূপ দেখা যায়, সৌদি আরবে অভিবাসনে সরকারি ব্যয় যেখানে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, সেখানে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে অভিবাসন কর্মীদের।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফেখারুজ্জামান বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার কারণে কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ দালাল ও এজেন্ট নির্ভর। ফলে অভিবাসন ব্যয় দুই থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে একদিকে পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় অনেক বেশি হয়, অন্যদিকে বিদেশে গিয়েও কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ৯০ শতাংশ অভিবাসন কর্মীরা দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। আর এ দুর্নীতি অনিয়ম রোধে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম হাফিজুর রহমান, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি পরিচালক মো. রফিকুল হাসান প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মার্চ ২০১৭/এম এ রহমান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়