ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বয়ফ্রেন্ডকে দিয়ে সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে ছুরিকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বয়ফ্রেন্ডকে দিয়ে সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে ছুরিকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল ৭ তরুণ-তরুণী। খাবার টেবিলে বসার পর এদের মধ্যে এক তরুণী ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে দেয় তার পাশে বসা বয়ফ্রেন্ডের হাতে। এর কিছু মুহূর্ত পরে এক তরুণ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতেই ধারালো ছুরি হাতে এগিয়ে যায় সেই যুবক। এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে আগুন্তক তরুণ ও তার বন্ধুকে। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে রেস্টুরেন্টের সিসি ক্যামেরায়।

এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চট্টগ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আক্রান্ত যুবকের নাম আয়মান জিহাদ (২১)। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত ও অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে ঘটনায় জড়িত সাত তরুণ-তরুণীকে। তারা সবাই নগরীর অভিজাত পরিবারের সন্তান। ঘটনাটি চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী রোডের মুনো ক্যাফে নামে রেস্টুরেন্টে ঘটে।

পুলিশি অনুসন্ধান ও ভিডিওচিত্রের সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন বিকেল ৪টা। আনাছ আহমেদ রুবাব (২৩) এবং তার বান্ধবী উম্মে আইমন শিন (২০) সহ নিশাদ, মাইশা, সাকিব, মাহাদী মিলে সাতজন মুনো ক্যাফেতে খেতে যায়। তারা পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে উম্মে আইমন শিন তার আগের বয়ফ্রেন্ড আয়মান জিহাদ (২১) কে ফোন করে রেস্টুরেন্টে আসতে বলে। এর মধ্যে রেস্টুরেন্টে খাবার টেবিলে বসে উম্মে আইমন শিন (২০) তার ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে আনাছ আহমেদ রুবাবের হাতে তুলে দেয। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আয়মান জিহাদ এবং তার বন্ধু ওয়াসেফ জামান (১৯) রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করামাত্র ধারালো ছুরি নিয়ে এগিয়ে যায় রুবাব। সবার সামনে আয়মান জিহাদকে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এই সময় জিহাদের বন্ধু ওয়াসেফ জামান এগিয়ে এসে রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে ৭ তরুণ-তরুণী নির্বিঘ্নে রেস্টুরেন্ট থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আহত জিহাদ ও জামানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা প্রাণে রক্ষা পায়।

নগরীর চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ হোসাইন রাইজিংবিডিকে জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছুরিকাঘাতের শিকার এবং প্রাণে বেঁচে যাওয়া আয়মান জিহাদ বাদী হয়ে ছয়জনের নামে এবং আরও অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পেয়ে নগরীর বিভিন্নস্থায়ে অভিযান পরিচালনা করেন ওসি (তদন্ত) আরিফ হোসেন। সর্বশেষ বুধবার সকাল পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সাত তরুণ-তরুণীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন আনাছ আহমেদ রুবাব (২৩), উম্মে আইমন শিন (২০), এস. এম. ইমতিয়াজুল ইসলাম (২২), নিশাত জেরিন (১৯), মাইশা জেরিন (১৮), সাকিব সেলিম (২১) এবং মাহাদী আলম (২০)।

তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৮ জুলাই ২০১৮/রেজাউল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়