‘স্বতন্ত্র কোনো প্যানেল ছিল না’
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সোমবার সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে এ নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট তিনটি প্যানেল জমা পড়েছিল। এর মধ্যে সরকারসমর্থক নীল দলের দুটি প্যানেলের একটি বাতিল করেন নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল ভেঙে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল। গত ১৪ মে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে ঘোষিত প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র এ প্যানেল ঘোষণা করেন অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল।
আজ সিনেট নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় অধ্যাপক মাকসুদ কামালকে। তিনি ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন।
এ সময় তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাদের কোনো স্বতন্ত্র প্যানেল ছিল না। আমাদের নির্দিষ্ট একটি প্যানেল আছে। সেটি হচ্ছে নীল দল। শিক্ষকরা সবাই এসেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে তারা ভোট দিচ্ছেন। আশা করছি নীল দল বিজয় লাভ করবে।’
তার নেতৃত্বে ঘোষিত স্বতন্ত্র প্যানেল নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাবি সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বামসমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল ৩৪ সদস্যের প্যানেল নিয়ে এবং বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত শিক্ষকদের সাদা দল ৩৫ জনের পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৭/ইয়ামিন/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন