ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে ফলিক এসিড

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে ফলিক এসিড

নিজস্ব প্রতিবেদক : মা হতে ইচ্ছুক এমন মায়েরাসহ গর্ভবতী মায়েরা ফলিক এসিড ব্যবহার করলে নবজাতক বা শিশুর জন্মগত ত্রুটি অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের উদ্যোগে ‘স্ট্রেনদিং অব হসপিটাল নিউবর্ন কেয়ার থ্রো এক্সপানডিং দি ন্যাশনাল নিউনেটাল পেরিনেটাল ডাটাবেজ (এনএনপিডি) অ্যান্ড নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এবিবিডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ’প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিএসএমএমইউ জন্মগত ত্রুটির গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি একশতে চারজন নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী জন্মগত ত্রুটির এ হার প্রতি একশতে ৩-৬ শতাংশ। এ গবেষণায় ১৪টি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এই গবেষণার মাধ্যমে জন্মগত ত্রুটির কারণ শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা এবং জন্মগত ত্রুটি হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি আরো সুন্দরভাবে করা সম্ভব হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি-৪ অর্জন করেছি। এখন আমাদের টার্গেট এসডিজি অর্জন করা। এই এসডিজি অর্জন করতে হলে প্রতিরোধকমূলক রোগের ওপর জোর দিতে হবে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত চলমান এ গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বিএসএমএমইউতে সম্প্রতি এক পুনর্মূল্যায়ন সভার আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ বিভাগ। নবজাতকদের জীবন রক্ষায় ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে এ বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নবজাতক বিভাগের যেকোনো ধরনের উন্নয়ন ও কার্যক্রমে সহায়তা দিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

বিএমডিসির সভাপতি ও দেশের বিশিষ্ট নবজাতক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা তার বক্তব্যে জেনেটিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুলাই ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়