ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ দুদক আইনজীবীর

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৯ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ দুদক আইনজীবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

রায় ঘোষণা শেষে আদালতের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এ মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এতে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

তিনি বলেন, ট্রাস্ট গঠন করতে গেলে ব্যক্তিগত সম্পদ প্রদান করেই ট্রাস্ট গঠন করতে হয়। কিন্তু এখানে তা প্রদান না করেই ট্রাস্ট গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এই ট্রাস্টে দলীয় ফান্ড থেকে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে খালেদা জিয়া অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। এ সংগ্রহের কাজে তাকে হারিছ চৌধুরী, মনিরুল ও মুন্না  সাহায্য করে।

কাজল বলেন, মেট্রোমেকার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ফান্ডে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করেছে বলে জানানো হয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আদালতকে জানিয়েছেন তারা এমন কোনও ফান্ডে টাকা অনুদান দেননি।

দুদক প্রসিকিউটর জানান, প্রসিকিউশন পক্ষের ৩২টি দাখিলকৃত সাক্ষ্যের আলোকে ১৯৪৭ সালের আইনের ৫(২) এবং ১০৯ ধারার আলোকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। সাক্ষ্য প্রমাণের আলোকে আদালত ১৪টি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বলেছেন-রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে এ ধরনের অবৈধ অর্থ উপার্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় ফান্ড ও বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়ে এবং বিভিন্ন আসামির সহায়তা নিয়ে এমন কাজ আর কেউ যাতে না করে। আদালত এ সময় বার্তা দিয়ে বলেছেন, যারা ক্ষতায় আছেন তাদের জন্য এবং যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের জন্যও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ জন্য এ ধরনের অপরাধ থেকে তাদের দূরে থাকার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি যে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন সেই ট্রাস্টেও অনুকূলে কোন টাকা ব্যয় না করে, কোন কাজ না করে তিনি ট্রাস্টেও টাকা নিজের খাতে ব্যয় করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ধরনের কাজ করা গর্হিত অন্যায়। এ গর্হিত অন্যায় ভবিষ্যতে কেউ যেন আর করে। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় যাবেন তাদের জন্য বার্তা দিয়ে আদালত বলেছেন, যারা এ ধরনের কাজ করবেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে।

আজকের রায় ঘোষণার দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এর মাধ্যমে উচ্চতর ও বিচারিক আদালতের নির্দেশের প্রতি তারা অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়াকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায়, আর খালেদা জিয়াকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার দায়ে অপর তিন আসামিকে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একই সাজার আদেশ দেন বিচারক।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়