‘বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া’
ড. মো. সহিদুল ইসলাম (ফাইল ফটো)
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত বক্তব্য পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা কেলেঙ্কারির যে তথ্য সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা করণিক ভুল এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে এ কথা জানান।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জব্দকৃত সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। কিন্তু গত বছরে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে ৮ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছিল। ওই টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট পরিদর্শন করে। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়ার পর তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে পাঠানো হয়েছিল। এনবিআর থেকে লিখিতভাবেই বিষয়টি তাদের জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনো তাদের লিখিত বক্তব্য পাইনি। আমরা তাদের লিখিত বক্তব্য পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবো।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণের মান কমে যাওয়ার বিষয়টি একটি করণিক ভুল বলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন দাবি করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা করণিক ভুল। স্বর্ণ যখন শুল্ক গোয়েন্দা থেকে স্বর্ণ নেওয়া হয়, তখন তাদেরকে বলা হয় ৪০। এটি ইংরেজিতে লেখার সময় বাংলা ৪০ কে ইংরেজিতে 80 (৮০) লিখে ফেলা হয় এবং এতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসার পর যখন আবার মাপা হয়, তখন সেখানে ৪৬ শতাংশ স্বর্ণ পাওয়া যায়। তাছাড়া শুল্ক গোয়েন্দার মাপটি এনালগ পদ্ধতিতে ছিল। যা অনেক সময় ভেরি করে।
মঙ্গলবার একটি দৈনিক পত্রিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণের মান কমে যাওয়াসহ অনিয়মের কথা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি একটি করণিক ভুল বলে দাবি করা হয়।
পড়ুন :
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ/এনএ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন