ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

গেইল-ম্যাককালামদের হারিয়ে দিল মেহেদী-রশিদ খানরা

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৮ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গেইল-ম্যাককালামদের হারিয়ে দিল মেহেদী-রশিদ খানরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক : যেমনটা প্রত্যাশিত ছিল ঠিক তেমনটা হলো না। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডান ম্যাককালামের ঝড় দেখতে। কিন্তু তারা দুজনই ছিলেন নিষ্প্রাণ, ফ্লপ।

রংপুর রাইডার্সের রান তখন ৩১, কিন্তু টি-টোয়েন্টির এ দুই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান সাজঘরে। গেইলের নামের পাশে ১৭ ও ম্যাককালামের ১৩। কুমিল্লার বিপক্ষে রংপুরের জিততে আরও চাই ১২৩ রান। কে করবে এ রান?

উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ মিথুন ও রবি বোপারা। দুজনের ৬৭ রানের জুটিতে রংপুর পায় লড়াইয়ের ভিত। কিন্তু শেষটা আর রাঙাতে পারেনি রংপুর। ১৫৪ রানের টার্গেটে রংপুর ম্যাচ হেরেছে ১৪ রানে।



অথচ ম্যাচের শুরুতে ভালো অবস্থানে থাকা রংপুর ৮ বলে ১ রানে হারায় ৪ উইকেট। রশিদ খান ও মেহেদী হাসান জোড়া আঘাত করে ৪ উইকেট তুলে নেন। রশিদ খান গেইলকে (১৭) এলবিডব্লিউ করার পর কুশল পেরেরাকে (০) মেহেদীর বলে তালুবন্দি করান। ক্যাচ নিয়ে বোলিংয়ে এসেই ম্যাককালামকে (১৩) স্ট্যাম্পড করান মেহেদী। এরপর শাহরিয়ার নাফিসকে শূন্যরানে সরাসরি বোল্ড করেন।

জয়ের জন্য বোপারা ও মিথুনের জুটি ভাঙার প্রয়োজন ছিল। আল-আমিনের ওভারে তামিম কাজটি করে দেন ১৬তমও ওভারে। ২৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে মিথুন ফিরেন কভারে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১ চার ও ১ ছক্কায় মাশরাফি প্রতিরোধ গড়েন ঠিকই। কিন্তু জয় নামক সোনার হরিণের দেখা পায়নি রংপুর।

বোপারা ৪৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। রশিদ খান ও মেহেদী হাসান শুরুতে দারুণ করার পর মাঝে পেসাররা ছিলেন দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে দলগত পারফরম্যান্সে কুমিল্লা দারুণ জয় তুলে নেয়।



এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে কুমিল্লার অধিনায়ক তামিম শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। ৪ বাউন্ডারি মেরে দর্শক মাতিয়ে রাখেন দেশসেরা এ ওপেনার। রানের চাকা আটকাতে হলে তামিমের উইকেট নেওয়া প্রয়োজন ছিল। মাশরাফির দলের হয়ে কাজটা করেন দলে ফেরা রুবেল হোসেন। দ্রুত গতির বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ম্যাককালামের হাতে ক্যাচ দেন ২১ রান করা তামিম। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকা লিটন আজও ফ্লপ। ১১ বলে ১১ রান করে বোল্ড হন মাশরাফির বলে। ধারাবাহিকভাবে কুমিল্লার হয়ে রান করা জস বাটলার মাঠে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪ বলে ১ রানে ফিরেন মাশরাফির বলে এলডব্লিউ হয়ে।

মাশরাফির জোড়া আঘাতে কুমিল্লার রানের চাকায় কিছুটা লাগাম পড়ে। কিন্তু একপ্রান্তে ধরে খেলে যান ইমরুল কায়েস। তাকে সঙ্গ দেন মারলন স্যামুয়েলস। ইমরুল যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ স্যামুয়েলস মারার চেষ্টা করেননি। কিন্তু বাঁহাতি এ ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন স্যামুয়েলস।

দলীয় ১০০ রানে ইমরুল (৪৭) বোল্ড হন থিসারা পেরেরার অসাধারণ এক ইয়র্কারে। পরপর তিন ম্যাচে চল্লিশের ঘরে আউট হন ইমরুল। শেষ দিকে স্যামুয়েলস দ্রুত রান তুলে কুমিল্লাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন। ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তরুণ সাইফ উদ্দিন ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করে স্কোরবোর্ড রাঙিয়ে দেন।



রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি ও পেরেরা। ১টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন।

হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা কুমিল্লা টানা চতুর্থ জয় তুলে দারুণ ছন্দে রয়েছে। ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে কুমিল্লা। অন্যদিকে চতুর্থ ম্যাচে এটি রংপুরের তৃতীয় পরাজয়। ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রয়েছে বিগ বাজেটের দল রংপুর।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ নভেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়